আব্রাহিমিয় ধার্মিকরা ভারতে আছেন ও হিন্দুস্তান দখল/সাশন করেছে প্রায় ৭০০ বছর। বহু দেশজ মানুষ মুসল্মান ও খৃষ্ঠান ধর্ম গ্রহন করেছেন। যারা ধর্ম গ্রহন করেননি কিছু বিশ্বাস আমরা গ্রহন করেছি। শুওরের প্রতি ঘৃনা, ইচ্ছামৃত্যু বা আত্মহত্যা অপরাধ ভাবা, বহুবিবাহে দোষ, ইত্যাদি। হিন্দুস্তান অর্থাৎ সিন্ধু থেকে ব্রহ্মপুত্র ও দক্ষিনে কেরল বা শ্রীলঙ্কা। যদিও সিন্ধু অববাহিকার লোকেরা আর নিজিদের হিন্দু বলেন না, কিন্তু মাত্র ষাট সোত্তর বছরে কি জাত পাল্টান যায়? পদ্মাপারের লোকেরাও নাম পাল্টেছেন। হিন্দুস্তান এখন পাকিস্তান,বাংলাদেশ, ভারত ইত্যাদি।
বুধুরামের ঠাকুর দেবতা পুরোহিত বাদ, সংস্কৃত নিরক্ষর, গরুশোরে নাপত্তি, এমত বুদ্ধু নিজেকে হিন্দু বলে। ভারতীয় বংশোদ্ভুত কেঊ, কোন পাগল মুস্লিম/শিখ/খৃষ্টান, যদি নিজেকে হিন্দু বলে, কি বলবে সে? বুদ্ধুরামের হিন্দুত্ত আচার ব্যভার অভ্যাস ও কিছু বিশ্বাস। আর একটা বিরাট অতীত; কিছুটা লজ্জার, অনেক অনেকটা ধরে রাখার।
এই ব্লগের প্রথমে লেখা উচিৎ ‘এই ব্লগে লিখিত মতামত বুধুর একান্ত নিজস্ব’। কিন্তু বুধু ঠাওড় করতে পারে, ভুল হোক বেভুল হোক ওরিজিনাল চিন্তা বুদ্ধুরামের মাথায় আসা বোধ হয় অসম্ভব। সবই অন্যদের চিন্তা ভাবনার ফল, পুরোনো মদ নতুন পাত্রে। হয়তো বদ কক্টেল।
ফিরে দেখা যাক। এক জৈন মুনি গত বছর কিম্বা তার আগে সসন্মানে ইচ্ছা মৃত্য নিলেন। মহাভারতে অমর ভীস্ম অর্জুনের সাহায্য নিয়ে ইচ্ছামৃত্যুর গল্প আছে। মহাভারত গল্পের খনি, পান্ডবদের মহাপ্রস্থানও ত ইচ্ছামৃত্যু। রামায়নে সীতা স্বামির অসহ্য ন্যকামি সইতে না পেরে জ্যান্ত কবর নিলেন। এই সব গল্প দক্ষিন ও দুক্ষিন-পূর্ব এশিয়া অনেক জায়গায় একনো সাড়ম্বরে সৃতী চারন হয়। বিদ্যে বুদ্ধির তোড় থাকলে বুধু দেখিয়ে দিত শুওর অখাদ্য নয়। রামায়ন মহাভারতে বহুবিবাহ সগর্বে অনেক। কানাতেও দেখতে পায়। দ্রৌপদীর পঞ্চস্বামী আবার আর্জুন ভীমের একাধিক বা বহু। ইত্যাদি।
আলস্যোদ্যোগহীনভীতু বুদ্ধু মরনাপন্নকেও সাহায্য করতে পারে না। দিবা সপ্ন প্রিয়। নিজের মৃত্যু কে সহজ লভ্য দেখে সপ্নে। সমাজ তথা দেশের নেতাদের এক বড় সমস্যা নাগরিকদের আমোদে রাখা। পূজো-ঈদ-বড়দিন, বেশ্যা-বাঈজী-মদ, নাটক-সিনেমা-যাত্রা, বাজার-হাট-মল, সার্কাস-খেলা-টুর্নামেন্ট, ইত্যাদি কত কিছুর ব্যবস্থা রাখতে হয় সরকারকে। এ সব আমোদ এবং ব্যবসা। সুধু চাল-ডাল-ছাদ-চিকিৎসা হলে চলে না। আমোদ চাই। পুরানো ধর্মের ছানি যেদিন কাটবে আমুদে মৃত্যুর শুদিন আসবে। শুদিনের আশায় মানুষ বাঁচে। যেমন আমুদে মৃত্যুর আশায় বাঁচে বুদ্ধুরাম।
No comments:
Post a Comment