u may have to download Bengali fonts from http://www.omicronlab.com/ to read this blog. এখানের ভুলভাল মিম থেকে সাবধান

khelakhela

khelakhela

Wednesday, September 02, 2009

খসড়া

‘অবিশ্বাসে অবিশ্বাস’ অনেকদিন গুনগুন করে মন। গুরু বললেন বেশ ঐ তোর বীজ মন্ত্র । অনিরুদ্ধকে গুরু পেলাম। আমার বিজ্ঞানমনস্কতার প্রথম পাঠ চলছে। গুরুর প্রথম প্রবচন ‘গুরুর কর্মে বা কথায় অবিশ্বাস রেখো’। দ্বিতীয় ‘সংঘবদ্ধ হয়ও না’। ‘তোমার পরীক্ষা নেব, আমার কর্মক্ষমতার যাচাই হবে’ গুরু বলেন।
প্রায়ই বিজ্ঞানবার্তার শভায় যাই তাঁর আদেশে। আরো কয়কজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ আসেন সেচ্ছা-আমন্ত্রিত হয়ে। শভায় অনেক কথা হয়। অনেক কথা, কথার পিঠে কথা, বিজ্ঞান মনষ্কতা ঢাকা পড়ে যায় কি? যাক।
গুরু বলেন, বিজ্ঞানমনষ্কতা। কেমন?
আমি ভাবি বিজ্ঞানমনস্কতা - বিজ্ঞানমনস্কতায় বিজ্ঞান আর মন আছে। প্রথমটা প্রাচীন সংস্কৃত শব্দ, আধুনিক বাংলাতে পরীক্ষা নিরীক্ষা থিয়োরি হাইপথেসিস ইত্যাদি বোঝায়। মন স্নায়ুর ব্যপার। স্নায়ু্র শরীর অবস্থান। মন আর আমি সংপৃক্ত, প্রত্যেক শরীরে।
ক) মনে অনেক প্রশ্ন-থাকতে হবে।থাকেই; কেবল মাঝে মাঝে তাদের প্রাধান্য দিতে হবে।
খ) বিশ্বাস গুলোকে (সুধু মাত্র) সনাক্ত করতে হবে সুযোগ মত।
গ) জানাগুলো কেমন করে জানা জানতে হবে সময় খুঁজে।ভুল চোখে এলে নতুন করে জানার সময় ও শ্রম দিতে হবে।
ঘ) আমিকে বুঝতেও সময় খরচ আছে। আমির সবজান্তা অহঙ্কার সর্বসময় মনে রাখার বিষয় প্রতিদিনের বিজ্ঞান চিন্তায়।ক, খ ও গ প্রতিদিন নতুন আমি এনে দিতে পারে।গতকাল পরশুর সব ভুল আমিকে লজ্জা পেলেও, মুক্ত মনে প্রকাশ্যে মেনে নিতে শিখতে হবে।
ক, খ, গ এবং ঘ অনেক অভিজ্ঞতার পড় এবং মনে লাগলে,
ঙ) আমিকে মনে রেখে, যথেষ্ঠ সাবধানতা এবং শিক্ষা নিয়ে, বিজ্ঞানমনষ্কতা বীক্ষায়, পরীক্ষা নিরিক্ষার স্থান করা যেতে পারে।

আমরা করি বা বলি বিশ্বাস থেকে। বিশ্বাস আমাদের অত্যাবশ্যক হাতিয়ার। বিজ্ঞানমনষ্কতার শভায় ‘জানা’ যেন ট্রেসেবল হয়। জানাতে বিশ্বাসের ভেজাল চলে যায় সহজেই। সাবধান। গুরুরা হাঁসেন মিটিমিটি।

No comments:

Blog Archive

About Me